পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সবুজের শৌভিক | বুদ্ধদেব গুহর স্মরণে

ছবি
   ক্যাফে গদ্য কাব্যে দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়  কোজাগর চলেছে মাধুকরীর অনুভবে। হেমন্ত বেলায় একটু উষ্ণতার জন্য কোয়েলের কাছে তার সবিনয় নিবেদন। ছেঁড়া ক্যানভাসে হলুদ বসন্ত লবঙগীর জঙ্গলে। জোনাকির ফসফরাসে লেগে থাকে হাজার দুয়ারী অভিলাষ সুখের কাছে। বনজ্যোৎস্নার সবুজ অন্ধকারে জলতরঙ্গ বাজে শরীর মাদলে। তোমার জন্য ভেসে চলেছে তরল কান্নারা সবুজ থেকে সবুজে। জঙ্গল মহলে আজ মনখারাপের বিলাওল। অরণ্যের মর্মরে বুক ফাটা হাহুতাশ। গাছেরা নত মস্তকে যোগিয়া পরিরম্ভে। প্রজাপতির ডানায় উড়ান স্তব্ধ বিস্ময়, মৃত্যুর পারুষ্যে পাথর চাপা। মনখারাপের নকশিকাঁথা পাতায় পাতায়।মোম জ্যোৎস্নার নিরাতপ প্রদিগ্ধ ভালোবাসা আজ মৃত ভেজা।চলে যাবার সুরে সিনীবালী নেমে এসেছে সসেমিরা হৃদয়ে।বিদায় বন্ধু ,বিদায় !

বিমোক্ষ/ (উৎসব ১৪২৮)/দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়

ছবি
  হলুদ ডালিয়া হেলে পড়ে হাসিমুখে। চন্দ্র মল্লিকার নিজেদের সাথে কানাকানি।জিনিয়ারা আপন আনন্দে খিলখিল।লাল হলুদ গাঁদা পালক পিতার দিকে আবেগভরা চোখে।গোলাপের বুকেও আজ মনকেমনের শিহরণ। বারান্দা বাগানের প্রতিটা  সবুজ প্রাণ ভালোবেসে বিহান সহায়। গতানুগতিকতার মোড়কে জীবন এখন বিহানের।ছেলেবেলায় বাবার হাত ধরে গড়ে ওঠা অভ্যাসে ভোরে প্রকৃতি সন্নিকর্ষে ওর দিন শুরু।বাবা বলতেন ' ভৈরো ' সময়। প্রাণের প্রথম প্রৈতি যেন এই মাহেন্দ্রক্ষণ। বাবার গলায় তখন গুনগুন করে না - জানা আলাহিয়া বা বিলাবল।সৌমনস্যভরা মন বাবার হাতের স্পর্শে তখন। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিহানের অবসর জীবনে কষ্টজড়িমায় আবাহন যেন দিনের বাকি সময়ে।রিষ্টিনাশা সুখের দীধিতি উধাও কোন অজানায় !সকাল নাকি সবসময় বাকি দিনের ইঙ্গিত দেয়! মুচকি হেসে ফেলল বিহান।ভুল ভুল, বড়ো ভুল ।ওর জীবন তাহলে স্যন্দিত দুঃখের আলাপন হতো না। ব্যাঙ্কের চাকরির সিদ্ধান্তটা ওর নিজের। অঙ্কের শিক্ষক বাবা চেয়েছিলেন ছেলে উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যাক। গবেষণা করে নিজের সৌরভ ছড়াক। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ওর প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় হওয়া বাবা মার আগ্রহের সলতেতে আগুন দেবে স্বাভাবিক। ...

তবু ও থেকে যায়

ছবি
  দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়