অণুগল্প: আশাবাদ

দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় স্কুল থেকে বেরতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেল। ক্লান্ত শরীরটাকে একপ্রকার অটোর মধ্যে ছুঁড়ে দিল অভীক। পিছনের সিটে দুই পৃথুলার পাশে যেন পিসার হেলানো মিনারের মতো বাইরের দিকে ঝুলে রইল। বাইরের বাতাস গায়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল অটো চলতেই। আরামে চোখ বুজে এল। হঠাৎ প্রশ্ন : অভীবাবু,আজ বর্ধমান লোকালটা হবে তো? দ্বিতীয় বারের প্রশ্নে অভীক উৎসের দিকে তাকাল। কোণে বসে অজন্তাদি। পাশের মেয়েদের স্কুলের ভূগোলের শিক্ষি কা। বাড়ি বেহালা। অবসরের মুখে ই বলা যায়। একসাথে যাতায়াতের কারণে সখ্যতা।অভীককে খুব স্নেহ করেন ।মাথায় সাদা কালো চুলের সহাবস্থান মহামেডানের জার্সির কথা মনে করিয়ে দেয়। সারা মুখে লড়াইয়ের ছাপ। একমাত্র ছেলে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। ঠাকুর পুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়মিত যেতে হয়। ওনার স্বামী পুরুলিয়ায় রঘুনাথপুরের এর বি ডি ও। ঘাড় নেড়ে মুচকি হেসে মুখ ফেরালো ও। কিছুক্ষণ পর আবার প্রশ্ন। অভীক বুঝলো খুব টেনশনে আছেন দিদি। ওনার দিকে মুখ ঘোরাতেই বলে উঠলেন: আজ ছেলেটাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া আছে। ট্রেনটা ধরা আজ খুব দরকার।অভীক বুঝল।এই ট্রেন না পেলে আধঘন্টা কোন ট্রেন নেই। ...