কবি চন্দন রায়ের কবিতা সংকলনের রিভিউ


    " কবিতার মুখোমুখি দেবাশীষ"
                    ---------------------

মৃত্যুর শীতল চুম্বনে প্রাণের উষ্ণ হোমাগ্নি জ্বলে
              °°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°

                 দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়
                     উত্তরপাড়া, হুগলি
                          ••••••••••••••••


২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে মৃত্যুকে জীবন উৎসব থেকে ফিরে যাওয়া  প্রত্যাখান বলে আসিক্ত করে আমেরিকান কবি Patti Smithর ঋতভাষ ---"It's part of the privilege of being human that we have our moment when we have to say goodbye". স্বাভাবিক বহমানতায় মৃত্যুকে মহাবিশ্বলোকের ইশারা থেকে উৎসারিত সময়চেতনায় দুলিয়ে দেন অপরিহার্য সত্যের মতো যা ' আজ' কে ভাবগত বিজ্ঞপ্তির দৌবারিক করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তা উপেক্ষা করতে পারেন নি ----
"আস্ফালিছে লক্ষ লোল যেন জিহ্বা নিষ্ঠুর
                                              নীলিমা ----
তরঙ্গতান্ডবী মৃত্যু।"
জীবনানন্দ দাশের মতে মৃত্যুর সিম্ফনি রোমান্টিক বিষাদ ও আত্মকেন্দ্রিক বেদনার আলোছায়ার আয়োজন ----
"মৃত্যুরে বন্ধুর মত ডেকেছি তো ,--প্রিয়ার মতন!
চকিত শিশুর মত তার কোলে লুকায়েছি মুখ।"
কবি চন্দন রায় মৃত্যুর রূপ আঁকেন পোড়া গন্ধ মাখা রোদ্দুরে মেঘের অদৃশ্য মূর্ছনায় ----
" একটা দরজা। তোমাকে সংবাদ শোনাবে।
তাড়া নেই, দিন-রাত্রি কিংবা কাক ভোরে তার 
সমস্ত উচ্ছাস।দ্রুত পেরিয়ে যাওয়া সিঁড়ি।
তার পাশে অস্পষ্ট আলোয় ঘেরা স্তব্ধতা।"
জীবনের ছবি এলিয়ে পড়লে ---
"জীবনের সমস্ত সীমাচিহ্ন আজ
প্রশ্নের মুখোমুখি।নীল খামে
প্রতিদিন সূর্য্যের আলো আসে
আর মিথ্যে চিঠির ভাঁজে ফিরে যায়।"
খিদের মতো সংগোপনে অসফল ক্ষমতাবিহীন দুর্বোধ্য ঘামের দানার মতো আগ্ৰাসী কিছু ছবি ক্ষত নিয়ে যন্ত্রণায় স্তব্ধ হয়ে লোল প্রশ্নরেখায় দাঁড়িয়ে পড়ে ---" আমরা থাকবো তো!"কবির উদ্বেগের  প্রতিধ্বনি ছুঁয়ে যায় বাংলার ধানক্ষেত, চওড়া রাস্তা,মধ্য বয়সের কাম -গন্ধ, বুকের চামড়ার নিচে জেগে থাকা আলপিন,চশমায় ধুলো ছড়ানো বাতাস,নির্জন ঠোঁটের ভিতর আলস্যের মধ্যরাত,প্রান্তরের কোণে দাঁড়ানো মেঘ, স্পর্শ ভীরু জন্মের স্বচ্ছল জটিলতা।      

' লেখার  কালি ' প্রকাশন থেকে প্রকাশিত প্রিয় কবি  চন্দন  রায়ের ' জেলখানার  খোলা  চিঠি ' আদপেই ভীষণ ভয়াল  সময়ের নিরূপাধি অস্তিত্বের অবিচ্ছিন্ন কালজ্ঞান।প্রচ্ছন্ন থাকে ঔপনিষদিক অ্যাসথেটিকস---"আবিরাবীর্ম এধি ---রুদ্র যত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিত্যম্"। দারিদ্র ভিক্ষুক না করিয়া যেন আমাদের দুর্গম পথের পথিক করে , এবং দুর্ভিক্ষ ও মহামারী আমাদের মৃত্যুর মধ্যে নিমজ্জিত না করে সচেষ্টতর জীবনের দিকে ধাবিত করে।শুরুতে কবির বৈমনস্য মৃত্যুর গন্ডি ছাড়িয়ে শেষে আশার স্বপ্নবীজ প্রাখর্য।জীবনানন্দের মতো " বেঁচে থেকে লাভ নেই" বলেন না কবি চন্দন রায়।রক্ত ও মৃত্যুর দুই বোতামে পাঞ্জাবীর ওপরটা বন্ধ করতে করতে বলে যান ---
" ভয় পাবার কিছু নেই
রাস্তার ওপর ঝুঁকে আছে শালের জঙ্গল
গান শোনো
গান ভালো না লাগলে কবিতা....।" গনগনে আঁচের লাল শিখার রুমাল নাড়া নয় , ছাইয়ের মধ্যে গলে যাওয়া পাপের খোঁজও নয় --- চাঁদ এসে ঠোঁট ছুঁয়ে গেলে যুবতীর জলার্ত চোখের মতো বোবা-কান্নার মেঘ এসে কপালে জল ছোঁয়া দিয়ে যায় ---
" এসব খেলা দিন -রাত্রি
মনের এমন গভীর অসুখ
এসব নিয়ে তোমার কাছে পৌঁছতে হলে
নদীর পাড় ভাঙা একটি পাখির দরকার....."।কবি এখানে দোটানায়। পাঁচিল সমান উঁচু হয়ে ওঠা ছায়াকে রূপান্তরিত রোদ্দুরের সামনাসামনি দাঁড় করিয়ে দেন পবিত্র পদ্মের মতো প্রাণের চিরন্তন অম্লান সঙ্গমে। ছিঁড়তে গেলেই স্মৃতি উঠে আসে শিকড়ের সাথে -----টেনে রাখে অদৃশ্য স্বরলিপি ----
" তোমার শরীরের কাছে
তোমার গোপন ডাইরীর পাতা থেকে পাঠ করে
তোমার প্রেম, তোমার ধ্বংসাবশেষ
তুমি যতবার তাকে আঙুল তুলে জঙ্গলের
পথ দেখাও
সে তত দীর্ঘ হয়ে তোমার কাছে ফিরে আসে
সংলাপে শান্ত করতল -----"।
Tennyson ' In Memoriam ' এর প্রতিধ্বনি যেন ---
" Be near me when I fade away,
To point the term of human strife,
And on the low dark verge of life
The twilight of eternal day."

কাঁটার আঘাতদায়ী কুসুমের মতো ঠিকানা থাকে না অনেক সময়। ঠিকানা থাকে না স্বতঃস্ফূর্ত জ্যোৎস্নায় শঙ্খের মতো স্তনের আদরের পরিপূর্ণ মুগ্ধতার। ঠিকানা থাকে না শীতে ঝরে যাওয়া ধনের মতো সনাতন বিশ্বাসের। কবি চন্দন রায়ের টেবিলে রোদের চড়াই উৎরাই ---
" ঠিকানা ছিল না, ছিল
ভয়ংকর উত্তাল আকর্ষণ, আলগা স্তনের মতো
মায়াপাশ ছিন্ন করে বন্ধ দরজার সামনে নিয়ে এলাম
ঠান্ডা স্পর্শ, খুলে গেল, মুহূর্তে উদার হলো
পৃথিবীর নির্জন তল্লাসী
ভরা বর্ষা------

ঠিকানা ছিল না "।

ঠিকানা থাকে না ----প্রাত্যহিকীর মাধুকরী যাপনে সুন্দর তো ক্ষণস্থায়ী।Eckhart Tolle র মতে , ঠিকানা শুধু বর্তমানে , হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া মুখের অচেনা আলোয়, সকালের নরম রোদ্দুরের মাধবীলতার গায়ের চুমুতে।" The idea of a future heaven creates a present hell"। Zen Buddhism এর মতে একেই বলে " mono no aware"।শূণ্যতা ছাড়া ব্যর্থ সময়ের  গ্লানি কি তাহলে ভুল চিন্তা সংকল্প? কবি শ্যামলনীল ব্যথার লাবণ্যসাগরে সমর সেনকে আঁকড়ে  ধরেন --
" কেতকীর গন্ধে দুরন্ত,
এই অন্ধকার আমাকে কী করে ছোঁবে?
পাহাড়ের ধূসর স্তব্ধতায় শান্ত আমি,
আমার অন্ধকারে আমি
নির্জন দ্বীপের মতো সুদূর, নিঃসঙ্গ।"
এই নিঃসঙ্গতার মাঝে জেগে থাকে আত্মরতি স্তব্ধতার পর্দা ছিঁড়ে ইঁট সুরকির ভেতর, কখনও বা বারংবার ধূমায়িত ক্রোধে।মৃতের মুখের কাছে কাঁপতে থাকে সময় হৃদয়ের দিগন্তে বিদায়ের ঘন্টা বাজলে। কবি অনুসন্ধিৎসু ---
" কখনো অদৃশ্য কখনো চাঁদের জোয়ার
শোনা যায় পদশব্দ
কেউ কি হেঁটে ফিরে যাচ্ছে !

কোথায় ফিরে যেতে চায় সম্পূর্ণ অজানা"। কবি বারবার সেই ঠিকানাহীন মুজদায়।

Macbeth মনে পড়ে যায় পাঠকের---
"Life's but a walking shadow,a poor player, that struts and frets his hour upon the stage, and then is heard no more; it is a tale told by an idiot, full of sound and fury, signifying nothing ".
"স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে দূরে বসবাসকারী চাঁদ..." । নিরুত্তর মায়াবী কামনার দেয়ালে অনুভূত হতে থাকে মৃত্যুর হিমস্পর্শ।শবের মিছিলে ধূসর জীবনের রূপ জাগে হৃদয়ে।কান্নারা ফাগুনের বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্খায় বোধচৈতন্যের স্তিমিত আলোকে আপন উপলব্ধিতে দ্রষ্টার চোখে দেখে "কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয় "! কবি চন্দন রায় অমা - রাত্রি -অন্ধকারের বহুমাত্রিক অর্থ দ্যোতনায় জীবন মৃত্যুর পরিধি দেখান মোম- আলো হাতে ----
"ঘুমের মধ্যে আর ঘুমের বাইরে প্রতিদিন
মৃত্যুর নৌকো ভাসে
ঘুম ভাঙলে রোদ্দুরের মুখ অসম্ভব কালো
যেন এইমাত্র নিভে যাবে "।
নদীর পাড় ভেঙে সম্পর্ক ভেসে গেলে গঙ্গার জলে শরীরের ক্ষত চোয়ানো মুখের ভঙ্গিমা --
"মারাত্মক বিষ, জিভের ওপর এনো না
স্তনের আদলে গড়া তীব্র লোভনীয়
জিভের ওপর এনো না
পাঁচিলের ওপর পা ঝুলিয়ে বসে আছে
যেন পূর্ণিমার চাঁদ "।
মৃত্যুকে এখানে personified করেন কবি। কল্পনার পরিভাষায় খুঁজতে চেষ্টা করেন কবি অমিয় চক্রবর্তীর স্বচ্ছমুকুরে---
" কোথায় চলেছ পৃথিবী
আমারও নেই ঘর
আছে ঘরের দিকে যাওয়া।"
এই চলাচলে মানুষের প্রাণে তবু অনন্ত ভৈরবী কবির অনিমেষ পথে প্রেমের রক্তাভ রৌদ্রের বিচ্চুরিত শান্তি ও শ্রান্তির বিস্ময় আলোড়নে ---
" কিভাবে ঘুমোবো?
বিছানার নিপাট চাদর
বালিশের কানায় গোলাপ-ছবি
সাবান আর রোদ্দুরের গন্ধ মাখা
মশারী টানটান
বুকের কাছে হালকা স্তনের ছোঁয়া
শরীরের চারপাশে নিভু আলো....."
নীলকন্ঠ পাখির আকাশে মীনরৌদ্রমুখর জলের স্বর।প্রেম ধেয়ে চলে ঠিকানার সন্ধানে যেখানে নগ্ন নির্জন হাতে হৃৎপিণ্ড সলিল ঘিরে স্ফারের হ্রাদ।দুরাপ জেনেও কবি নক্ষত্র- সাজানো খোঁপার কালো চুলের ভেতর  ঝাউয়ের কানাকানি পাঠকের হৃদয়ে শাণিত  করেন----'কি করে এত প্রেম খুঁজে পাও!/
কি করে এত পেলব রূপ ধারণ করে তোমার কবিতা !"Self Reflexive হয়ে ওঠে কবিতা এখানে। কবি চন্দন রায়ের কবিতা এইসব পরিসরেই গ্ৰহিষ্ণু ব্যক্তিত্বের আর্কিটাইপ হয়ে যায় গভীর মায়ায় শব্দের সারাৎসারে।

কবি চন্দন রায়ের কবিতার মৌল ছাঁচ ভাষার ভেতর লুকিয়ে থাকা নৈঃশব্দ্যকে জাগিয়ে তোলে। প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় হৃদয় ও মেধার মিথস্ক্রিয়ায়। ঘরানায় আত্মনিগ্ৰহের নরক নয়, রোমাঞ্চিত হবার বাসনায় আকস্মিক যন্ত্রণায় দীর্ঘতর বৃষ্টির প্রার্থনা।
" অন্ধকার মাঠ ভেঙে ছুটে আসে পুরোনো দিনের
পলাশ
সমস্ত পদশব্দ সময়ের কাছে এসে শব্দে মিশে যায়
কোলাহল, এক বিস্তৃত কোলাহল
অন্ধকার মাঠ ভেঙে ছুটে আসে
উত্তাল স্রোত ভাঙা নদী "।
অদ্ভুত সময়ের গল্প বলেন কবি যেখানে" গৃহীত এব কেশেষু মৃত্যুনা ধর্মমাচরেৎ "। একটা morbid অবস্থার ছবি যেখানে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদকে  কবি চন্দন রায় অনাদি অনন্তের অভিমুখে তড়িল্লেখা আঁকেন।
সৃজনের শাদা নৌকোটাকে দুধ রঙের কুয়াশায় মিলিয়ে দিয়ে শরীরের উপাদেয় গোলাপ-পাপড়ি ছড়িয়ে দেন পাঠকের তৃষিত বুকে ---
"তুমি কথা বলো
তুমি কথা বলো
যেভাবে একদিন ফুলের ওপর শুয়ে বলেছিলে....."।
কবির চেতনার দ্যুতি ও বোধের উন্মেষ Gabriela Mistral কে মনে করায় ----" 
What the soul is to the body,so is the artist to his people."পাঠকের কাছে ভিতর -বাড়ির রাস্তা খুলে দেন কবি। শব্দের মায়াজালে তাদের জড়িয়ে ধরে রজনীগন্ধার স্নিগ্ধ সৌরভে ভরিয়ে তোলেন। তার ইঙ্গিতের দিব্যতা ও অন্তঃপ্রেরণা Super addressee হয়ে যায়।চিন্তাশীলিত আবেগ তার কবিতার বিনির্মাণে এক রহস্যময় ধাপ। জীবনের সারসত্য খুব স্পষ্ট ভাষায় বন্দি সময়ের প্রেক্ষাপটে নিরবদ্য করেন ---" The meaning of life is that it stops."চোখের জলের ধীর শিখায় যখন সম্পর্কগুলো গলে যেতে থাকে তখন কবির brain mapping এ শুধুমাত্র তার কবিতারই সম্পূর্ণতা  ----
" এসেছ যখন কিছু নিয়ে যাও
পাথর, রঙিন কাঁচ,নীরব,নীল দুঃখ জড়ানো রাত
মশারী ছাড়া চোখের ধারাপাত
ভালোবাসা ভাঙা ঠোঁটের গোলাপ
দুহাতে মাখিয়ে নিয়ে যাও।"

যা তোমার সামনে ছড়িয়ে আছে, পূর্ণ আনন্দের সাথে তাকে স্বীকার করে জীবনের অভিজ্ঞতা বানাতে হয় ,এ কবি বোঝেন---
" সম্পদে সংকটে থাকো কল্যাণে
থাকো আনন্দে নিন্দা অপমানে।
সবারে ক্ষমা করি থাকো আনন্দে
চির -অমৃত- নির্ঝরে শান্তিরসপানে।"
কোথায় যেন সেই উপনিষদেই ফিরে আসতে হয়।" শান্তং শিবমদ্বৈতম্ "মন্ত্রে ----জ্ঞানে কর্মে ও প্রেমে শান্তকে শিবকে ও অদ্বৈতকে উপলব্ধি করবার এক পর্যায় কবির কবিতায় কেমন নিগূঢ়ভাবে নিহিত আছে !

কবি চন্দন রায়ের অবচেতন বাসনায় ---
" মানুষের দৃষ্টি আর দর্শন প্রকৃত সন্ন্যাসী
সর্বাঙ্গে জড়ানো গান, স্তব মন্ত্র,
এরা ঠোঁট চুষে ফল খায়
বৃক্ষ ফল দেবে বলে নাভি সরিয়ে পাতার নিচে পোকা খুঁজে জল ছেটায়
ভঙ্গি ভীষণ চমকানো,নীল ছবির মতো "।
কবি চন্দন রায় অনায়াসে পাঠককে অনুভূমিক পরিসর থেকে উল্লম্ব স্পেসে নিয়ে চলে যান।এটাই তার device ।কবি সমস্তকে একীভূত করে আলোর যাত্রায় মাটি ও আকাশকে অদৃশ্য সুতোয় বাঁধেন, জোয়ারের শব্দের সাথে বড় বেশী নিজের কথা মনে পড়ে যাওয়ার গল্প বলেন জলের তৃপ্তিতে ----
" এভাবেই বেঁচে থাকতে হবে!
এভাবেই বাঁচতে হবে সহস্রবার
স্তব্ধ সময় ঘেরা একাকী মেদিনী
শতছিন্ন মেঘ, ঘরের ছাদে,
পাহাড়ে -বনে, বাতাসে -বিপ্লবে
ফণা মুখ পাথর দু'হাতে
এভাবেই বেঁচে থাকতে হবে !"
বাঁচতে জানলে রোদ্দুরে শুরু হয় প্রমুদিত স্নান ,
বালিশের ঝালরের ওপর খোলা  চুলের খিলখিল হাসি, গাছের শেকড়ে জড়িয়ে যায় বোধি, পড়ে থাকা পাতার মর্মরে কচি পাতার ঘ্রাণ। শ্রী অরবিন্দের জীবনের নিত্যতা সূত্র এরকমই ----
" Yet is there Time to be crossed, lives to be lived out,the
Unplayed acts of the soul's drama." আসলে মানুষের পৃথিবীতে কিছুই দূরবর্তী নয়। রোমান কবি টেরেন্সের মৃত্যুহীন বাচন যেন 'জেলখানার খোলা চিঠি 'র Verse Libre ----
" Homo Sum; humani nil a me alienum puto" ---- মানুষ আমি, মানুষের পৃথিবীতে কোনো কিছুই আমার থেকে দূরবর্তী নয়।

           ‌        **********"








মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রেমেন্দ্র মিত্রের কবিতার দ্রুতি ও মন্দন

কবিতা অঞ্জলি: পূর্ণতার উড়ান