পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আগুন সাগর

ছবি
 দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় ঈশ্বর চলেছেন ক্লান্ত পায়ে লাল মাটিতে জুতোর মশমশ প্রাণের দেবতা সাজা অসহায় দেহাতি মানুষের ডাক্তার দাদা বড়ো অবুঝ ভালো - কাঙ্গাল  মানুষ চাদর চাপা হৃদয় ক্ষতবিক্ষত চাপ চাপ রক্তের আলপণা অপমান বঞ্চনা অসম্মানের পাহাড় ফুলে আজ তার খুব ভয় কখন যে শক্ত পাথরের মালা হয়ে যায় শব্দ সংস্কারক কখনও বা সমাজ সংস্কারক নারী শিক্ষা বা বিধবা বিবাহ চরৈবেতির রঙ্গিন উড়ান তিনি চলেছেন তেজময় শিরদাঁড়ায় যুদ্ধের দুন্দুভি এই উঁচু হতে থাকা মাথাটাকে মাটিতে মেশানোর একরাশ প্রয়াস  না হলে যে সমাজ টলোমলো কিন্ত কীটসমাজ  পারলে কই নাম যে স্বয়ং ঈশ্বর ভুলে গেলে বোধহয় মৃত্যুটা আটপৌড়ে   রোজ  দেখা নয় বুকের ক্ষতের ওপর জমে থাকা হ্যাঁ। চোখেরই জল প্রিয়জনের প্রয়োজন ফুরানোর মোড়কেউপহার ঈশ্বরের আর এক ঈশ্বরকে শিউলি বিদায় অনেক লড়াইয়ের আগুন খেয়ে ভারতমায়ের জীর্ণ টলোমলো স্বপ্নগুলো আজ মহীরুহ আশ্রয়ে কোটি কোটি ঊর্দ্ধ বাহু লড়াইয়ের আগুন বুকে নিয়ে মিছিলের মুখ ঈশ্বর ও যে তোমারই মুখ জাগ্রত জীবন্ত ভারত তো সেখানেই ঠিক সেখানেই তোমার পাশে তোমারই আশে

কবিতা: হৃদয়ে বাস

ছবি
   দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় সততায় হোক বাসা সতত তোমার জীবন জয়ী হোক মিথ্যার হার। নিয়ম শৃঙ্খলা মানায় চলুক জীবন একফালি রোদ হও প্রাণে আমরণ। তুমি পথ চলো শুধু উঁচু করে মাথা জীবনে জীবন যোগ সাফল্যের বারতা। অবিরত পথ চলা শপথ যে গাঁথা শিক্ষকের আদর্শ মাথায় আজি চরণে প্রণত মাথা।

কবিতা অঞ্জলি: পূর্ণতার উড়ান

ছবি
 দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় আগুনটা বুকে জ্বেলে পুড়িয়ে পবিত্র চারপাশ লড়াইয়ের সলতেতে বাঁচুক জীবনের অশেষ অভিলাষ। ধ্রুবতারা বুকে পুঁতে ছেলে চলে জীবনের পথ কালো বোর্ডের শব্দরা শেখায়  বাঁচার  মহান শপথ। বীজ আজ মহীরুহ মানুষের শান্তির নীড় উপদেশ তাদেরই ছিল সদা থাক উচ্চ তব শির। পূর্ণতারই শিক্ষায় থাক সাফল্যের অদম্য সফর জীবন বানাও তুমি মানবতার অমলিন আকর। এগিয়ে চলার ছন্দ এখন ছেলেটির বিশ্বাসী পায় সকল শ্রদ্ধা আজ তাই সেই মহামানবেরই দিকে ধায়।

শতবর্ষের আলোকে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় :এক অফুরান আকর

ছবি
 শ্রদ্ধা ও স্মরণেঃ—দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় আগুনের গোলাটা রাস্তা হেঁটে বেড়ায়-খুঁজে ফেরে দু'মুঠো ভাতের গন্ধ- উলঙ্গ ছেলেটা আকাশে হাত বাড়িয়ে মুঠো মুঠো মেঘ খায়-সকলের রাস্তায় শুয়ে মৃত্যু জীবনকে হাতছানি দেয়--জীবন, ভালো বাসা সব যেন বুকের পাঁজরে ভরতে চায় "ঘর, ফুটপাত,আহার,বাতাস,", বিপ্লবের আগুনপতাকার গগনভেদী স্ফূরণ "এক থালা গরম ভাত হাজার ফুল ফোটায় "..      চুম্বকে এই রূপরেখাই বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। স্বাভাবিকতার ফাঁক গলে বেরিয়ে পড়া এক আগুনখেকো মুখ, রক্তমসির কবি। জন্ম ১৯২০ সালের ২রা সেপ্টেম্বর অবিভক্ত বাংলার ঢাকা জেলার বিক্রম পুরে। স্কুল ও কলেজ জীবন কলকাতার আকাশে পল্লবিত।রিপন স্কুল ও কলেজ চলে শিক্ষা। সঙ্গে চলে বিপ্লবের উদ্বোধন। স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েন কালবোশেখী হাওয়া আনতে দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করার দৃপ্ত বাসনায়।পরে জীবনে যোগ হয় বামপন্থী রাজনীতি। বাঁচার উৎসমুখ সংগ্রাম অভিসারী হয়ে ওঠে।রাতের খসে পড়া তারায় জীবনের অভিলাষ খোঁজা নয়, প্রেমিকার কোমল চাহনীতে রজনীগন্ধা আঁকা নয়--মানুষকে " মায়ের আঁচলের মতো" এক পৃথিবী দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যেখানে  ...